স্থাপত্য পাবলিশার্স
বর্ধমান । কোন্নগর । কোলকাতা
Sthapatya Publishers
Burdwan | Konnagar | Kolkata
info.sthapatya@gmail.com
Shubhayan M: +918653792921
Arunava S: +9194323 43169
স্থাপত্য পাবলিশার্স
বর্ধমান । কোন্নগর । কোলকাতা
Sthapatya Publishers
Burdwan | Konnagar | Kolkata
info.sthapatya@gmail.com
Shubhayan M: +918653792921
Arunava S: +9194323 43169
Trending
Get real time updates directly on you device, subscribe now.
চৈতন্যদেবকে গুম খুন করা হয়েছিল পুরীতেই এবং চৈতন্যদেবের দেহের কোন অবশেষের চিহ্নও রাখা হয়নি কোথাও। এবং তা হয়নি বলেই তিনটে কিংবদন্তী প্রচারের প্রয়োজন হয়েছিল। …এই বয়সে শহীদ হবার ইচ্ছে নেই বলেই বলতে পারবো না ঠিক কোথায় চৈতন্যকে খুন করা হয়েছিল।
নীহাররঞ্জন রায়(সপ্তডিঙ্গা, বর্ষ ২, সংখ্যা ২)
৮ই এপ্রিল, ২০১৭। শিবপুর বিই কলেজ– লর্ডসের মাঠ। আমাদের ফেস্ট চলছে সেসময়। বিই কলেজে ফেস্ট চলে চার দিন ধরে। অবশ্য দিন না বলে রাত বলাই ভাল! আমরা মানে, বিইংসদের কাছে ব্যাপারটা দুর্গোৎসবের সামিল! সেদিন নবমীর রাত; কলকাতা নাইট।
রাত বারোটা নাগাদ ‘ফকিরা‘ উঠল। ফকিরার লিড তিমিরদার অসাধারন গলা। শুরুতেই কয়েকটা লোকগীতি এত দরদ দিয়ে গাইল যে আমি চলতি কথায় ‘ছিটকে’ গেলাম! যেমন অপূর্ব গলা তেমনই ইন্সট্রমেন্টাল অ্যারেঞ্জমেন্ট! আমার আশে পাশের লোকজন তখন পাগল হয়ে গেছে! কেউ দু-হাত তুলে নাচছে, কেউ মাথা চুল ঝাঁকিয়ে চিৎকার করে গাইছে! আমিও যে খুব প্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলাম তা নয়, কিন্ত স্টেজের একপাশে চুপ করে দাঁড়িয়ে শুনছিলাম! তিমিরদার গলা যেন তখন হ্যামলিনের বাঁশি, সুরের মূর্ছনা লর্ডসের মাঠ ছাড়িয়ে হস্টেল ১৪, ১৫র সীমানা ছাড়িয়ে রিচ, ম্যাক, সেন, সেনগুপ্তর ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে! ‘হরে কৃষ্ণ’ পদাবলী কীর্তনটা গাইতে গাইতে মাঝে উদাত্ত গলায় তান ধরল–
”হরি হরায় নমঃ কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ, যাদবায় মাধবায় কেশবায় নমঃ”
আমিও ডান হাতটা উপরে তুলে গলা মেলালাম। আমার পাশে, দুই বন্ধু তখন উত্তেজনায় বিটের তালে তালে দুহাত তুলে নাচছে! সোমরসের কল্যানে হোক, বাবার কৃপায় হোক কি তিমিরদার গলার মাধুর্যেই হোক কয়েকশো তরুন-তরুণী যেন কৃষ্ণ নামে পাগল হয়ে উঠেছে। ঠিক ঐ মুহূর্তে অজস্র বন্ধুর ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়েও এক অদ্ভত আবেশ আমাকে আচ্ছন্ন করল! এক দমকা হাওয়ার আমি যেন পিছিয়ে এলাম পাঁচশো বছর।
কল্পনায় দেখলাম– দাঁড়িয়ে আছি নবদ্বীপের রাস্তায়। ঐ যে দেখা যায় কত মানুষ নগর সংকীর্তনে বেরিয়েছে; আর তাদের সবার সামনে এগিয়ে আসছে এক দীর্ঘদেহী গৌরবর্ণ পুরুষ। তার পিছন পিছন দুহাত তুলে ভাবের ঘোরে কৃষ্ণ নাম নিতে নিতে এগিয়ে আসছে শত সহস্র মানুষ। সমাজের চোখে তাদের কেউ চণ্ডাল, কেউ মুচি আবার কেউ অচ্ছুত বা অস্পৃশ্য! সঙ্গীত এর মত এত শক্তিশালী শিল্প মাধ্যম খুব কমই আছে। আজ থেকে কয়েক শতাব্দী আগে চৈতন্য খুব বুদ্ধি করেই কীর্তনকে ব্যবহার করেছিলেন জাতিভেদের বিরুদ্ধে নিম্নবর্ণের মানুষকে একত্রিত করতে। শত শত মানুষ ভাবের ঘোরে কৃষ্ণ নামে পাগল হয়ে উঠেছিলেন। সঙ্গীত অবশ্য আজও আমাদের পাগল করে, জোটবদ্ধ করে– শুধু সময়ের সাথে সাথে পটভূমিটা বদলে যায়।
গানটা শেষ হওয়ায় ঘোরটা কেটে গেল! সেদিনই ঠিক করেছিলাম, এই অসাধারণ মানুষটাকে নিয়ে লিখব! ব্রাত্যজনের রুদ্ধসঙ্গীতে, দেবব্রত বিশ্বাসের সাথে চে গেভারার তুলনা পড়েছি। ষোড়শ শতাব্দীর পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে চৈতন্য আন্দোলন কে বিচার করলে আমার মনে হয় চৈতন্যর কৃতিত্ব, ‘চে’র থেকে কিছু কম হবে না! সমকালীন যুগে, সামাজিক আন্দোলনকে দানা বাঁধতে হলে ধর্মের হাত ধরতেই হত, কিন্ত তাতে চৈতন্য আন্দোলনের গনবিপ্লবী চরিত্রটাকে কোন ভাবেই অস্বীকার করা যায়না! তবে শুধু গনবিপ্লবই নয়, চৈতন্য আন্দোলনের হাত ধরে হিন্দু ধর্মের পুনরুথান না হলে বাংলার জনবিন্যাসই হয়ত বদলে যেত! দেশ ভাগের সময় আজকের পশ্চিমবঙ্গ থাকত পূর্ব পাকিস্থানের আওতায়! হয়ত ৭১’এর মুক্তিযুদ্ধ হতই না, আরও অনেক কিছুই হত না!
এবার আসি একটু অন্য প্রসঙ্গে। যেদিকটা নিয়ে বড় কেউ একটা আলোচনা করেনা।
সমাজে যখন সত্যিই বড় কোন বদল আসে, তখন তার প্রভাব সমস্ত শিল্পক্ষেত্রেও পরে। পরিবর্তনের ঢেউ সাহিত্য, সঙ্গীত, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, চিত্রকলা– সব কিছুকেই ছুঁয়ে যায়। স্থাপত্যের উদাহরণ দিয়ে আপনাদের বিষয়টা বোঝাই।
একবিংশ শতাব্দীতে বাংলার মন্দির স্থাপত্য বলতে যা পাওয়া যায় তা মূলত রেখ (শিখর) ও সামান্য কিছু পীঢ়া (ভদ্র) দেউল, যেগুলো মূলত কলিঙ্গ স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত হয়েছিল। এরপর ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতে সেন বংশের পতন হয় (যদিও সেন রাজারা পূর্ববাংলায় পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে কয়েক দশক রাজ্য শাসন করেছিলেন)। তবে বাংলার শাসনভার ইসলামী শাসকদের হাতে গেলে, প্রথম তিনশো বছরে প্রায় মন্দির স্থাপত্যের বিকাশ রুদ্ধ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এসময় বেশ কিছু হিন্দু স্থাপত্য ভেঙ্গে মসজিদ নির্মাণও হয়েছিল। ১২০০-১৫৫০ এর মধ্যে বাংলায় উল্লেখযোগ্য মন্দির স্থাপত্যের সংখ্যা হাতেগোনা!
ষোড়শ শতাব্দীতে নদিয়ায় নিমাই ভক্তিরসের জোয়ারে নিস্তরঙ্গ বাংলার সমাজে যে বিপ্লব নিয়ে এসেছিলেন তার প্রভাব ছিল সুদুর প্রসারী। সপ্তাদশ শতাব্দীর শুরু থেকেই বাংলার গ্রামে গ্রামে মন্দির নির্মাণ শুরু হয়। ঠিক এরকম একটা পরিস্থিতিতেই বাংলায় তৈরি হল ‘চালা মন্দির’, যা একান্তই বাংলার নিজস্ব স্থাপত্য। বাংলার স্থপতিরা কলিঙ্গকে অনুকরনের রাস্তায় না হেঁটে, বাংলার সমাজ, ভূমিপ্রকৃতি আর জলবায়ুর কথা ভেবে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে- গ্রাম বাংলার খড়ের চালা থেকেই তাদের পছন্দসই ফর্ম বেছে নিলেন। আমার বিশ্বাস এই সময়টায়, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রামে গ্রামে মন্দির নির্মাতাদের চাহিদা হঠাৎ এত পরিমানে বৃদ্ধি পায় যে বাংলার স্থপতিরা তাদের চির পরিচিত চালা গঠন শৈলীটাই বেছে নিয়েছিলেন। এরপর এই চালা স্থাপত্য থেকেই দেউল স্থাপত্যের মিশ্রনে, সময়ের হাত ধরে এল রত্ন স্থাপত্য। এ সবই বাংলার একান্ত নিজস্ব স্থাপত্যশৈলী। আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন না, এই যে আমরা বাংলো (Bungalow) বাড়ি দেখি– তারও মূল অনুপ্রেরণা কিন্ত বাংলার এই নিজস্ব দোচালা স্থাপত্য। ‘বাংলা’ঘর শব্দটা ব্রিটিশ উচচারণে বাংলো হয়ে গেছে। অবশ্য শুধু বাংলোই নয় বাংলার এই চালা রীতি শাহজাহানের হাত ধরে সারা দেশেই ব্যবহার শুরু হয়। শাহজাহান তার জীবনের দীর্ঘ ১৬ বছর কাটিয়েছিলেন এই বাংলায়।
যাই হোক প্রসঙ্গে ফিরে আসি। যেখান থেকে শুরু করেছিলাম। শুধু চালা বা রত্ন মন্দিরই নয়, বরং বাংলার দোলমঞ্চ ও রাস মঞ্চ নির্মাণের সাথেও চৈতন্য আন্দোলনের গভীর যোগসূত্র আছে। শুধু বাংলা মন্দিরের আকৃতিই নয়, বাংলার মন্দির ভাস্কর্যের গায়ে যে অনন্যসাধারন টেরাকোটার কাজ দেখা যায় বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে বিচার করলে তা শুধু ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবীতে বিরল।
বাংলায় টেরাকোটার ব্যবহার অবশ্য বহু প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। শুধু পাল বা সেন আমলই না, তারও আগের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার (মোগলমারি, পাহাড়পুর ইত্যাদি) এবং চন্দ্রকেতুগড়েও খনন করে অসংখ্য টেরাকোটার মূর্তি পাওয়া গেছে। বাংলার মন্দিরে এই পোড়ামাটির যে অভিনব ব্যবহার করা হয়েছে – তা সত্যিই অনন্য। কারণ এই টেরাকোটাগুলো শুধু সৌন্দর্যায়নের জন্যই ব্যবহার হয়নি, বরং একই সাথে যেমন বৃষ্টি থেকে নোনা ধরা প্রতিরোধ করেছে, সাথে সাথে ফুটিয়ে তুলেছে মহাকাব্য, পুরাণ আর তৎকালীন বাংলার সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনকে। সময়ের সাথে সাথে বাংলার সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনে যে পরিবর্তন এসেছে তাও ধরা পরেছে টেরাকোটার ছোট ছোট প্যানেলগুলোর মধ্যেও। মন্দিরগাত্রের এই সামাজিক ও রাজনৈতিক চিত্রগুলোই বাংলার পোড়ামাটির কাজকে ভারতবর্ষের অন্যান্য মন্দির ভাস্কর্য থেকে আলাদা করেছে। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে যেভাবে বাংলার মন্দির স্থাপত্যে Social, Political, Cultural Theme এর উপর টেরাকোটা প্লেক দেখা যায় সেটা সত্যিই বিরল। বাংলার মন্দির ছাড়া এদেশের আর কোন মন্দিরগাত্রে দেখা যায় রমণীর প্রতীক্ষা দৃশ্য! বাংলার টেরাকোটা ছাড়া আর কোথায় দেখা যায় পর্তুগীজ বোম্বেটেদের রণতরী! আর কোথায় দেখা যায়, জমিদার মশাই তাকিয়ায় হেলান দিয়ে হুঁকো টানছেন!
প্রত্যক্ষ ভাবে এত কিছুর সাথে শ্রী চৈতন্যের হাত না থাকলেও, পরোক্ষ প্রভাব ছিল বৈকি। চৈতন্য না এলে এসবের কিছুই হয়ত হত না!
একথা সত্যি যে কোন যে কোন সামাজিক বা রাজনৈতিক আন্দোলনের ছাপ স্থাপত্যে ফুটে উঠতে বেশ খানিকটা সময় নেয়; বরং তা অনেক দ্রুত ফুটে ওঠে সঙ্গীত ও সাহিত্যে। উদাহরণ স্বরুপ বলি, বাংলার বুকেই গত একশ বছরে স্বদেশী আন্দোলন থেকে নকশাল বাড়ি দানা বেঁধেছে– যার ছাপ পরেছে সাহিত্য, সঙ্গীত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে। কিন্ত চৈতন্য আন্দোলনের পর থেকে প্রায় দীর্ঘ পাঁচশো বছর কেটে গেলেও বাংলার বুকে এমন বড় মাপের সামাজিক আন্দোলন হয়নি যার প্রভাব এসে পরেছে স্থাপত্যে। রাজনীতিক ও সামাজিক পালাবদল এবং যুগের অগ্রগতির সাথে সাথে বাংলার স্থাপত্যও বদলেছে ঠিকই কিন্ত চৈতন্য আন্দোলনের তীব্রতায় মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে যেভাবে বাংলার স্থাপত্য ও ভাস্কর্য রীতিতে নিজস্ব সত্তার জন্ম হয়েছিল তা সত্যিই বিরল!
এতগুলো কথা লিখলাম শুধু একটা কারণেই। বাংলার বুকে চৈতন্য আন্দোলনের সুদূরপ্রসারী প্রভাবটা বোঝাতে। অথচ কি আশ্চর্য বলুন, এরকম ক্ষণজন্মা এক প্রতিভার মৃত্যুটাই রহস্যাবৃত; সম্ভবত তাকে খুন করা হয়েছিল। আমরা অধিকাংশ বাঙালি হয়ত তার খোঁজ ও রাখিনা!
”পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পাণ্ডাদের মধ্যে একটা ভীষণ প্রবাদ চালু আছে, মালীবুড়োর শ্রীচৈতন্যের অন্তর্ধান রহস্য বইটা আমাদের জানাচ্ছে। এই পাণ্ডারা অনেকেই গর্ব করে বলে যে চৈতন্যকে তাদের পূর্বপুরুষেরা হত্যা করেছিল।
কেন করেছিল? এরা বলে, এর কারণ চৈতন্য নাকি বাংলার মুসলমান শাসকের চর ছিলেন! আর তাই চৈতন্যর উড়িষ্যায় আগমনের পরেই প্রথমবারের জন্য গৌড়ের মুসলমান শাসক উড়িষ্যায় সফলভাবে হামলা করতে পেরেছিল। সাহসীজন এ ব্যাপারে পুরীতে গিয়ে উড়িয়া পাণ্ডাদের মধ্যে খোঁজখবর করে দেখতে পারেন এরকম একটা কথা চালু আছে কি না ।”
চৈতন্য হত্যার অনুসন্ধানে-১ , তমাল দাশগুপ্ত
আমরা কত জন জানি যে এই চৈতন্য হত্যার কিনারা করতে গিয়েই বছর কুড়ি আগে জ্বলজ্যান্ত এক বাঙালি (জয়দেব মুখোপাধ্যায়) খুন হয়ে গেলেন ! দিন কয়েক আগেই নেট ঘাঁটছিলাম এই বিষয়টা নিয়ে ।
কি আশ্চর্য !
একটা ব্লগ কিম্বা ওয়েবসাইটেও এই নিয়ে কোন তথ্যপূর্ণ প্রতিবেদন পেলামনা । শেষ অব্দি নিজেই Quora তে এক খানা অ্যাকাউণ্ট খুলে লিখলাম –
There are certain mysteries regarding the mysterious disappearance of Sri Chaitanya Mahaprabhu. Followers of Sri Chaitanya believe that ‘God can not die’ and either he merged with the Jagannath Deity / Gopinath Deity or he jumped in the sea out of emotion. According to some literary sources, the left foot of Sri Chaitanya was injured while dancing and it became the primary cause for his death. Although several scholars have rejected this version of the story as it is clearly a deliberate attempt to match the ending with the life story of Krishna.
In the last few decades a few scholars have done extensive research on this topic and according to them, Sri Chaitanya was murdered in the Jagannath Temple and his body was hidden within the Tota Gopnath temple precinct .
During that time, the King of Kalinga (present day Orissa) were greatly moved by the charisma of Mahaprabhu and started neglecting the affairs of the state. As a result Vijaynagar Kingdom and Sultanate of Gaur repeatedly attacked Kalinga. As a result the state ministers started to hate Mahaprabhu. They blamed Shri Chaitanya as the sole reason for this troublesome situation.
Also, the Oriya Bramhins were very envious of him and they lost their prestige due to the Oriya disciples of Sri Chaitanya. Furthermore there was a conflict between Oriya and Gaudiya (Bengali) devotees regarding whom to be considered as the ‘Mahaprabhu’– the deity of Lord Jagannath or Sri Chaitanya himself! Considering all these aspects, the researchers (Dr. Biman Bihari Majumder) have concluded that the disappearance of Mahaprabhu was not a natural incident.
Although this is really a controversial and sensitive issue for a lot of people, several Bengali scholars have concluded that the sudden demise of Mahaprabhu was not a natural incident. Also the major biographers of Mahaprabhu are astonishingly silent in this context. I personally believe that, certainly there is a mystery and it has been carefully hidden for all these years. Even today, I searched the net thoroughly and could not find a single article which deals with this matter rationally. Dr. Jayadev Mukhopadhyay was doing a research on the mysterious death of Sri Chaitanya and before he completed his second part of the book, he was mysteriously killed in Puri. Not only he was killed but the manuscript of the second book was also stolen!
The truth has been carefully hidden for all these years and still the practice is going on.
You may read the following links/books on this topic–
1. Khama Karo He Prabhu, Rupak Saha – Dwip Publication
2. ‘Sri Chaitanyer Antardhan Rahasya’ (in Two Parts)– Yudishthir Jana– Mayna Publication
3. ‘Kaha gele toma pai’– Dr. Jayadev Mukhopadhyay
4. The Disappearance of Shri Chaitanya Mahaprabhu Paper
5.শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মতো তাঁর গবেষকও কি পুরীতে খুন হন?
6. Shoptodina Vol.2 No.2 (See the article in Page no – 45)
7. Shoptodina Vol.2 No.3 (See the article in Page no – 56)
8. সচল জগন্নাথ
9. চৈতন্য হত্যার অনুসন্ধানে – তমাল দাশগুপ্ত
10. শ্রী চৈতন্যের তিরোভাব রহস্য
11. শ্রী চৈতন্য কি সত্যিই পুরীর সমুদ্রে অথবা জগন্নাথের দারু বিগ্রহে লীন হয়ে গিয়েছিলেন ?
শেষ করব সামান্য দুটো কথা বলে। সম্ভবত জয়দেব মুখোপাধ্যায় কিম্বা মালীবুড়োর বইতে পড়েছিলাম ঘটনাটা।
সময়টা ২০০০ সাল। এ এস আই বা ভারতীয় পুরাতত্ব বিভাগ জগন্নাথ মন্দিরের সংরক্ষণ করার সময় মন্দির গাত্রের এক প্রাচীরের মধ্যে এক অস্বাভাবিক লম্বা কঙ্কাল পায়। উচ্চতায় সাড়ে ছয় ফুটেরও বেশী, নিমাইয়ের বর্ণিত উচ্চতার সাথে হুবুহু মিলে যায় প্রায়! কঙ্কালটাকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত খুব আশ্চর্যের কথা হল, এরপর কোন প্রভাবশালী মহল থেকে পুরো ঘটনাটা এরপর চেপে দেওয়া হয়! এমনকি দৈনিক সংবাদপত্রগুলোও হয় ঘটনাটা এড়িয়ে যায় কিম্বা খুব ছোট করে খরবরটা প্রকাশ করে। এরপর আর সেই কঙ্কালের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি!
ঘটনাটা পড়ার পরই আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। বহুক্ষণ ধরে ইন্টারনেটে এই ঘটনাটা নিয়ে সার্চ করেও সেরকম উল্লেখযোগ্য কিছু পেলামনা! খুব আশ্চর্য না, কারন ২০০০ সাল মানে সেসময় এদেশে এত ই-পেপারের রমরমা ছিলনা। ফলে ইন্টেরনেটে কিছু না থাকাটাই স্বাভাবিক। শুধুমাত্র গোপালকৃষ্ণ রায়ের লেখা এক বইতে (জ্ঞাননৌকা ও অন্যান্য প্রবন্ধ ) ঘটনাটার উল্লেখ পেলাম! ভদ্রলোক লিখেছেন যে সেসময় ঘটনাটা নিয়ে বেশ শোরগোল পরে যাওয়ায় তিনি নিজে পুরী গিয়ে ঘটনাটা নিয়ে খোঁজখবর করবেন ভেবেছিলেন। কিন্ত কিছু মানুষদের কাছে এ নিয়ে সদুপদেশ পান যে– এ বিষয়টা নিয়ে বেশী ঘাঁটাঘাঁটি করতে গেলে আর তার কলকাতা ফিরা হবেনা। ফলে এই রহস্য উদ্ঘাটনের আশা তিনি মানে মানে ত্যাগ করেন।
যাইহোক, আমার মনে হল– যদি কিছু পাওয়া যায় তবে সেটা পাওয়া যাবে ASI এর Annual Report এ। একটা লিঙ্কে পেলাম যে 1999 সালে জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ পুরাতত্ব বিভাগের কর্মীদের মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করে Measure Drawing করার অনুমতি দেন! Measure Drawing মানে রীতিমত সময়সাপেক্ষ ও খাটনির কাজ, মন্দিরের প্রতিটা ঘরে ঢুকে ঢুকে খুব যত্ন সহকারে সমস্ত মন্দিরটার প্ল্যান বানাতে হয়। ড্রয়িং শেষ হলে ASI কর্তৃপক্ষ এরপর 2000 সালে জগন্নাথ মন্দিরের বেশ কিছু অংশ সংরক্ষণ করেছিল– এই তথ্যটা পাওয়া গেল 2001 সালের রিপোর্টে। সামান্য এক পাতার মধ্যে ওড়িশা সার্কেলের কাজের খতিয়ান হিসেবে ঘটনাটার উল্লেখ করা আছে। স্বাভাবিক ভাবেই কঙ্কালের কোন উল্লেখ নেই!
”In September 1999 the director general of the Archaeological Survey of India, Ajay Shankar granted the necessary permission for the preparation of measured drawings. The third party, however, the priests of the temple, were upset that such an activity was allowed, since they felt intruded upon without being briefed about it. The team leader explained the nature and importance of the work thus paving the way for a week long detailed survey. In December 1999 all structures of the outer compound were verified on the basis of an enlargement of the settlement map at the scale of 1:250. All structures of the inner compound were measured and drawn at the same scale. A detailed measurement of the external periphery of the main temple along with the attached structures on the platform was undertaken. The priests did not allow the team to obtain measurements of the inner spaces of the main temple. The team plans to complete the measurement in July 2000, when the gods have left the temple for their annual ritual journey.”
এখান থেকে একটা বিষয় অন্তত স্পষ্ট যে সেই সময় সত্যিই ASI জগন্নাথ মন্দিরে সংরক্ষণ কাজ চালিয়েছিল এবং কঙ্কালের গোটা ঘটনাটাকে শুধু গুজব বা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া যায়না।
চৈতন্যের মৃত্যুর পর গোটা বাংলা জুড়ে এক ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তাঁর অন্তর্ধানের পরেই পুরী ছেড়ে কটক চলে যান রাজা প্রতাপরুদ্র| সিংহাসনে বসেন চৈতন্য বিরোধী গোষ্ঠীর গোবিন্দ বিদ্যাধর| পরবর্তী কয়েক দশক ধরে বাংলায় কৃষ্ণনাম প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়!
মালিবুড়ো বলেছিলেন চৈতন্যর মৃতদেহ সম্ভবত গরুড় স্তম্ভের নীচে বহুক্ষণ পরেছিল! এছাড়াও তার মতে, চৈতন্যকে ওড়িশায় গুমখুন করা হল অথচ তার খুব কাছের গৌড়ীয় ভক্তবৃন্দ কিছু বললেন না– এটাও খুব আশ্চর্যের বিষয়। এই প্রসঙ্গে অধিকাংশ জীবনীকারই নীরব, তবে এক প্রাচীন পুঁথি অনুযায়ী গৌরাঙ্গের মৃত্যু সংবাদ শুনে তার নিকট ভক্ত স্বরুপ দামোদরের বেদনায় বক্ষ বিদীর্ণ হয়ে মৃত্যু হয়। এখানে লেখক প্রশ্ন তুলেছেন– ‘বক্ষ বিদীর্ণ’ হবার ঘটনাটা সত্যিই দুঃখের কারণে হয়েছিল নাকি এখানে ‘বক্ষ বিদীর্ণ’ শব্দটার মধ্যে আক্ষরিক অর্থেই চৈতন্যে ভক্তকে অস্ত্র দিয়ে বুক চিরে হত্যা করার কথা বলা হয়েছে?
এই প্রশ্নেরগুলোর উত্তর দেবে কে? এরকম আরও কত অজস্র প্রশ্ন ভেসে বেড়াচ্ছে,যার কোন উত্তর নেই! কেউ কি আছে যে এত বছরের মিথ্যার জঞ্জাল সরিয়ে, হুমকি ও অসহযোগিতাকে পরোয়া না করে সত্যিটাকে সবার সামনে তুলে ধরার চ্যালেঞ্জটা নেবে?
আমি ভালো ছবি আঁকতে পারিনা। যদি পারতাম তবে একটা ছবি আঁকতাম।
১৫৩৩ খ্রীষ্টাব্দের আষাঢ় মাস, শুক্লা সপ্তমী তিথি। রবিবার। সময় দুপুর তিনটে। গৌরবর্ণ দীর্ঘদেহী এক পুরুষ প্রসন্নমুখে জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করছেন। পিছনের কপাট খানা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসছে। গর্ভগৃহের ভেতর সমস্ত মূর্তি সাদা কাপড় দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে! জনা কয়েক উড়িয়া পাণ্ডা লুকিয়ে রয়েছে গর্ভগৃহের থামের আড়ালে! দরজাটা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলেই তারা হিংস্র শ্বাপদের মত ঝাঁপিয়ে পরবে! প্রদীপ গুলো নিভে আসছে একে একে!
উপরের অসাধারণ ছবিটা এঁকেছেন অনিকেত মিত্র।
পরিশেষে বলি– আমি স্থাপত্যের ছাত্র। ইতিহাস আমার বিষয় নয়। তবু চেষ্টা করেছি একটা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সময়টার পর্যালোচনা করার। কোথাও তথ্যগত ভুল থাকলে সেটা সচেতন ভাবে করা হয়নি, নিজগুনে মার্জনা করবেন!
লিখেছেন অরুনাভ সান্যাল, কো- ফাউন্ডার ও এডিটর, স্থাপত্য।
ফিচার ইমেজ- অনিকেত মিত্র। বাংলার মন্দিরের প্রকারভেদের গ্রাফিক্স বানিয়েছেন অরুনাভ সান্যাল। বাকি ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
স্থাপত্য সাধারন মানুষের মধ্যে আর্কিটেকচার ও ডিজাইন নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বাংলা ভাষায় একমাত্র অনলাইন ম্যাগাজিন। আমাদের পাশে থেকে ও সমর্থন করে এই উদ্দেশ্য সফল করতে আমাদের সাহায্য করুন।
ওয়েবসাইট (Website) | ফেসবুক (Facebook) | ইন্সটাগ্রাম (Instagram) | লিঙ্কড-ইন (LinkedIn)
Get real time updates directly on you device, subscribe now.
Arunava graduated in Architecture from IIEST, Shibpur in May 2018. He recently acquired his Master's Degree in Rural Management (PGDRM) from the Institute of Rural Management, Anand (IRMA). He has an interest in Rural Sales, Marketing, and Consumer Behavior.
Arunava was a part of a National Team that won the ISB Invest-O-Pact by presenting a startup idea in the social impact space in ISB's Annual International Management Festival 2020. Arunava also won the Unknown Crafts Person Trophy, a national competition hosted by the National Association of Students of Architecture (NASA) in 2016. In the year 2018, Arunava co-founded Sthapatya (http://sthapatya.co/) which is India's first online magazine on Architecture in the Bengali Language.
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.