স্থাপত্য পাবলিশার্স
বর্ধমান । কোন্নগর । কোলকাতা
Sthapatya Publishers
Burdwan | Konnagar | Kolkata
info.sthapatya@gmail.com
Shubhayan M: +918653792921
Arunava S: +9194323 43169
স্থাপত্য পাবলিশার্স
বর্ধমান । কোন্নগর । কোলকাতা
Sthapatya Publishers
Burdwan | Konnagar | Kolkata
info.sthapatya@gmail.com
Shubhayan M: +918653792921
Arunava S: +9194323 43169
Trending
Get real time updates directly on you device, subscribe now.
#জল_সঞ্চয়ন
নিচের ছবিগুলি ভাল করে দেখুন। এই ধরনের পিপে আকৃতির পাত্র আমরা কিন্তু অনেকেই অনেক সময়েই জলের ড্রাম হিসেবে ব্যবহার করেছি। মূলতঃ বিল্ডিং তৈরির সময়ে রাজমিস্ত্রিদের এই ধরনের পাত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়, ইট ভেজানো বা কংক্রিট বা বালি সিমেন্টের মশলা মাখানোর জন্য ব্যবহৃত জল রাখার জন্য।
এবার এই পোস্টের মূল বক্তব্যে আসি। এই পাত্রগুলি দিয়ে আমরা খুব সহজেই “গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জ ওয়েল” বানিয়ে নিজেদের বাড়িঘরে বসাতে পারি। এজন্য প্রথমে এই পাত্রগুলিকে ছবির মত করে “perforated” বা ছিদ্রযুক্ত করে নিতে হবে। এর পর মাটিতে মোটামুটি ৪’× ৪’ (চার ফুট বাই চার ফুট) আকারের একটি চৌকো জায়গায় মাটি খুঁড়ে গর্ত করে পাত্রটিকে এমনভাবে বসাতে হবে যাতে পাত্রটি মাটির তলায় মোটামুটি ন্যূনতম একফুট বা তার বেশি নিচে থাকে (আমরা পাত্রটিকে আরো গভীরেও বসাতে পারি, যত বেশি গভীর করা যায় ততই ভাল)। এবার পাত্রটির চারপাশে বালি এবং ইট ভাঙা খোয়া দিয়ে ভরাট করে দিন।
এরপর আসে আসল কাজ। বাড়ির ছাদের জল যে রেন ওয়াটার পাইপগুলির মাধ্যমে নেমে আসে সেগুলোকে একটি একটি করে বা একসাথে দু’তিনটিকে জুড়ে সেই পাইপলাইন ছবির মত করে সরাসরি এনে এই রিচার্জ ওয়েলে যুক্ত করে দিন। পাইপলাইন মাটির নীচে দিয়ে আনাই ভাল তাতে নষ্ট হওয়ার বা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। আমরা এভাবে প্রতিটি পাইপের জন্য আলাদা আলাদা রিচার্জ ওয়েল বসাতে পারি বা অনেকগুলিকে জুড়েও একটি ওয়েল বসাতে পারি। পাইপলাইন এই রিচার্জ ওয়েলগুলির সাথে জোড়া হয়ে গেলে এই পাত্রগুলির ওপরে ইট ভাঙা খোয়া দিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। ব্যস আপনার কাজ শেষ।
এই ধরণের রিচার্জ ওয়েল থেকে আমরা বছরে কয়েক হাজার লিটার জল ভূগর্ভস্থ জলস্তরে রিচার্জ করতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে গড় বৃষ্টিপাতের হিসেবে, ১০০০ বর্গফুট ছাদবিশিষ্ট একটি বাড়ি থেকে আমরা বছরে প্রায় ১১৪ ঘনমিটার (অর্থাৎ ১,১৪০০০ লিটার জল) যা চারজনের পরিবারের প্রায় ১০৫ দিনের যাবতীয় জল খরচের সমপরিমাণ (২৭০ লিটার মাথাপিছু প্রতিদিনের হিসেবে) জল আবার ভূগর্ভস্থ জলস্তরে ফিরিয়ে দিতে পারি। আর এই কাজের জন্য আমাদের খরচ হতে পারে সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকার মত।
আর এই পরিমাণ জল যদি কিনে ব্যবহার করতে যান তাহলে খরচ?
আমি বলব না। অনেকেই আজকাল ২০ লিটারের জারের জল কিনে খান। খুব কম করে হলেও মোটামুটি যদি ১ টাকা/ লিটার হিসেবেও জল কেনেন (প্রসঙ্গত, এক লিটারের একটি জলের বোতল বর্তমানে ন্যূনতম ১৫ টাকায় বিক্রি হয়, আর চেন্নাই এবং মহারাষ্ট্রে বর্তমানে এক লিটার জল ২০০ টাকার আশেপাশে দামে বিক্রি হচ্ছে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেলাম) তাহলে বছরে কত টাকা খরচ করতে হবে সেই হিসাবটা আপনারাই করে নিতে পারবেন। আর নিজেদের পকেটের টাকা খরচের ব্যাপারে, আমাদের আম জনতার চেয়ে বড় ব্যবসায়ী কেউ নেই।
সুতরাং, সুধীজন এই পর্যন্তই থাক। আপনারা হিসেব কষে দেখতে থাকুন।
লেখা ও ছবি দিয়েছেন আশুতোষ দত্ত। আসল ফেসবুক পোস্টটি দেখুন এখানে।
স্থাপত্যের পক্ষ থেকে বিশেষ সংযোজন – এই সেটআপ বানানোর আগে সবসময় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের দ্বারা প্রকাশিত গাইডলাইন্স পড়ে নেবেন। ম্যানুয়াল অন আর্টিফিসিয়াল রিচার্জ অফ গ্রাউন্ড ওয়াটার পড়ুন এখানে। গুগল প্লে স্টোর থেকে সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার অথরিটির দ্বারা প্রকাশিত জল সঞ্চয়ন অ্যাপ ডাউনলোড করে নেওয়া যেতে পারে, এতে আপনার লোকাল গ্রাউন্ড ওয়াটার টেবিল বিষয়ক ও আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
এই গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জ ওয়েল মূলত ব্যবহার করা হয়ে থাকে লোকাল গ্রাউন্ড ওয়াটার টেবিল রিচার্জ করার জন্যে। এই একই পদ্ধতিতে আমরা আমাদের ব্যবহারের জন্যে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করতে পারি। আমরা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাঙ্ক বানাতে পারি অথবা প্যাটন বা সিন্ট্যাক্স এর কালো ট্যাঙ্ক ও ব্যবহার করতে পারি, মাটির লেভেলে পুঁতে দিয়ে। সেক্ষেত্রে মাটির নীচেই সেটআপ বানানো ভালো, এবং এমন ভাবে বানাতে হবে যাতে সেই ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার জন্যে ভেতরে মানুষ ঢুকতে পারে। বাড়ির পাম্পের সাথে যুক্ত করে এই জল ওভারহেড ট্যাঙ্কে তুলে নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানে বলে রাখা উচিত- বর্ষার প্রথম বৃষ্টির জল ব্যবহারের জন্যে সঞ্চয় না করাই ভালো, কারন সেই জলে আপনার ছাদের জমে থাকা ধুলো বালির মাত্রা অত্যাধিক বেশি হবে। ছাদের সাথে লাগানো পাইপের মুখে একটি জালি বসাতে ভুলবেন না, নাহলে পাইপের ভেতরে পাতা ইত্যাদি জমে গিয়ে জ্যাম হবার সম্ভবনা থেকে যায়। এবং, বছরে একবার, বর্ষার মুখে এই ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করিয়ে নেবেন।
বি. দ্র. বর্ষার সঞ্চিত জল পান করা বা রান্নার কাজে ব্যবহার করার আগে ফিল্টার করে নেওয়া বাধ্যতামূলক। রেডিমেড রেনওয়াটার পিউরুফায়ার বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, সেটি রেনওয়াটার পাইপে বসিয়ে দিলেই হবে। রেনওয়াটার ট্যাঙ্ক থেকে ডিরেক্ট এই জল চান করা, বাশন মাজা, ঘর পরিষ্কার, গাছে জল দেওয়া, গাড়ি পরিষ্কার ইত্যাদি কাজে ব্যাবহার করা যাবে।
স্থাপত্য সাধারন মানুষের মধ্যে আর্কিটেকচার ও ডিজাইন নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বাংলা ভাষায় একমাত্র অনলাইন ম্যাগাজিন। আমাদের পাশে থেকে ও সমর্থন করে এই উদ্দেশ্য সফল করতে আমাদের সাহায্য করুন।
ওয়েবসাইট (Website) | ফেসবুক (Facebook) | ইন্সটাগ্রাম (Instagram) | লিঙ্কড-ইন (LinkedIn)
Get real time updates directly on you device, subscribe now.
Next Post
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.