স্থাপত্য পাবলিশার্স
বর্ধমান । কোন্নগর । কোলকাতা
Sthapatya Publishers
Burdwan | Konnagar | Kolkata
info.sthapatya@gmail.com
Shubhayan M: +918653792921
Arunava S: +9194323 43169
স্থাপত্য পাবলিশার্স
বর্ধমান । কোন্নগর । কোলকাতা
Sthapatya Publishers
Burdwan | Konnagar | Kolkata
info.sthapatya@gmail.com
Shubhayan M: +918653792921
Arunava S: +9194323 43169
Trending
Get real time updates directly on you device, subscribe now.
বুইলেন মশাই , ব্যাপার স্যাপার দেখে তো আমি হতবাক! ছোট থেকেই ধারনা ছিল– মাছে ভাতে বাঙালী। ”মৎস্য মারিব খাইব সুখে”– রুই, কাতলা, ইলিশ, চিংড়ি, ভেটকি, কালবোস– আহা, জিভে জল এসে যায় ! তা এই খাল-বিল-হাওড় -বাঁওর আর উর্বর নদী-নালার দেশের মানুষ নেহাত দায়ে না পরলে যুদ্ধ– বিদ্রোহ করবে কোন দুঃখে শুনি? বাঙালির হাতে কি আর অস্ত্র মানায়?
ইদানীং বাংলার ইতিহাসটা নিয়ে একটু ঘাঁটা-ঘাটি করছিলাম। মাধাব’দা অনুরোধ করল– ‘বাংলার স্থাপত্য’ নিয়ে একখানা আর্টিকেল লিখবি ভাইটি … অগত্যা।
প্রথমেই ধাক্কা খেলাম গৌড়রাজ শশাঙ্কের অধ্যয়টা পড়তে গিয়ে। ছোটতে ধারনা ছিল মধ্যযুগের ব্রাহ্মণ মানেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে– টিকিধারি, রীতিমত ঘোড়েল পণ্ডিত। অথচ সপ্তম শতাব্দীর শুরুতেই বাংলার এক ব্রাহ্মণ সন্তানের শৌর্যে যেভাবে সমগ্র পূর্ব-ভারত মুখরিত হয়েছিল, যেভাবে গৌড়েশ্বরের রাজ্যসীমা পশ্চিমে ভুবনেশ্বর পর্যন্ত পৌঁছেছিল– তা সত্যিই অসাধারন। হাতে তলোয়ার নিয়ে রাজ্যজয় করলেই যে মহান বীর, এ কথা বলছিনা। হয়তো শশাঙ্ক বৌদ্ধদের উপর অত্যাচার করেছিলেন, হয়তো শশাঙ্ক নালন্দা আক্রমন করেছিলেন, ‘কিন্ত প্রয়োজনে ভেতো বাঙালিও যে অস্ত্র ধরতে পারে ‘ এই আত্মবিশ্বাসটা প্রথম শশাঙ্কই বাঙালির মনে গেঁথে দিয়েছিল।
যাইহোক পিতৃদত্ত নামের (আসলে ‘ঠাকুমা’দত্ত) পিছনে ‘সান্যাল’ বলে একখানা লেজুড় আছে দেখতেই পাচ্ছেন। শুনেছিলাম ‘বরেন্দ্র’ না কি একটি শ্রেণির বামুন আমরা। উত্তরবঙ্গের লোক। আমি অবশ্য কোনকালেই এই সব নিয়ে মাথা ঘামাইনি। ছোটতে যখন রক্ত গরম ছিল, কেউ জাতধর্ম নিয়ে কেউ জ্ঞান দিতে এলে কোমর বেঁধে লেগে পরতাম ঝগড়ায়। এখন অবশ্য পিতৃস্থানীয় কেউ এসব নিয়ে উপদেশ দিলে হাসিমুখে, ঘাড় নেড়ে মন দিয়ে শুনি– তারপর ঐ -“Listen, smile, agree, and then do whatever the …”
ইতিহাস ঘাটতে গিয়ে দেখি দু হাজার বছর আগে উত্তরবঙ্গের একটা বিস্তীর্ণ আঞ্চলের নাম ছিল– পুণ্ড্রবর্ধন আর তারই একটা বড় অংশ হল বরেন্দ্রভূমি।পুণ্ড্রবর্ধন ছিল সে সময়ের এক অত্যন্ত শক্তিশালী জনপদ। উইকিতে বলছে ‘বরেন্দ্র’ শব্দটার মানে– ”Rain Maker Magician”! বেশ আগ্রহ হল। পড়া শুরু করলাম। ‘চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য’– যে মানুষটা প্রথম গোটা ভারতবর্ষকে এক ছাতার তলায় এনেছিলন– তার আধ্যাত্মিক গুরু ‘ভদ্রবাহু’ এই পুণ্ড্রবর্ধনেরই এক ব্রাহ্মণের পরিবারের সন্তান। কেউ কেউ তো একধাপ এগিয়ে দাবি করেছেন যে চন্দ্রগুপ্তের পূর্বপুরুষরাও নাকি পুণ্ড্রবর্ধনের মানুষ (এ অবশ্য বিখ্যাত মানুষদের ”নিজের লোক” বলে কাড়া-কাড়িও হতে পারে)। তবে এটা ঠিক যে বরেন্দ্রভূমিতে অন্তত, হাজার দুয়েক বছর আগেও ব্রাহ্মণরা ছিল। গুপ্ত যুগের একটা তাম্রলিপিতে উল্লেখ আছে যে- সে সময় এক ব্রাহ্মণ নাকি জৈনদের বিহারের জন্য জমি দান করেছিলেন। একদল অবশ্য দাবী করে হিন্দুরাজা আদিসুর (সপ্তম থেকে নবম শতাব্দীর মধ্যে কোন একটা সময়ে) যজ্ঞ করার জন্য, কনৌজ থেকে যে পাঁচ জন পঞ্চ-গৌড়ীয় বামুনকে বাংলায় আনলেন-তারাই হলেন আজকের সব বাঙালি বামুনের আদিপুরুষ। মোদ্দা কথা হল ঐ পাঁচ কুলীন বামুনের একজনের থেকেই বরেন্দ্রভূমিতে ”ভাদুরী, মৈত্র, সান্যাল, বাগচী, লাহিড়ী” উপাধির বরেন্দ্রি বামুনদের জন্ম। আহা, আপনারা তো আমাদের আত্মীয় মশাই। হোক না সম্পর্কটা কয়েক শতাব্দীর পুরনো, হোক না সেই সম্পর্কের শেকড় খুঁজতে গেলে যেতে হবে আজকের রংপুর বা রাজশাহীতে।
যে প্রজন্মটা বাংলাদেশকে খুব কাছে থেকে দেখেছিল, তারা সবাই একে একে চলে যাচ্ছে। দাদু কয়েক বছর আগেই গেছেন, দিন কয়েক আগে ঠাকুমাও চলে গেলেন। ইদানীং ফেসবুকে Tapan Roy‘এর লেখায় মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশ নিয়ে অসাধারন সব লেখা পড়ি। বড় ইচ্ছে হয় জানেন, একটিবার চোখে দেখতে। আজ থেকে হাজার বছর আগে– সেই কোন সুদূর অতীতে হয়তো আমারই কোন পূর্ব-পুরুষ উত্তর ভারত থেকে এসে করতোয়া নদীর তীরে ঘর বেঁধেছিল। হয়তো আমারই কোন পূর্ব-পুরুষ, মহাস্থানগড়ের বৌদ্ধ বিহারে অধ্যাপনা করতেন। হয়তো তার সাথে হিউয়েন সাঙের আলাপও হয়েছিল… অলস সময়ে কল্পনার ফানুস উড়ে যায় বহুদূরে।
বাংলা তো সবে সত্তর বছর হল ভাগ হয়েছে মশাই, কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে কি আর একটা জাতির হাজার বছরের সভ্যতার ইতিহাস কে ভাগ করা যায়?
লিখেছেন অরুনাভ সান্যাল, কো- ফাউন্ডার ও এডিটর, স্থাপত্য।
ছবিগুলি লেখকের থেকে।
স্থাপত্য সাধারন মানুষের মধ্যে আর্কিটেকচার ও ডিজাইন নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বাংলা ভাষায় একমাত্র অনলাইন ম্যাগাজিন। আমাদের পাশে থেকে ও সমর্থন করে এই উদ্দেশ্য সফল করতে আমাদের সাহায্য করুন।
ওয়েবসাইট (Website) | ফেসবুক (Facebook) | ইন্সটাগ্রাম (Instagram) | লিঙ্কড-ইন (LinkedIn)
Get real time updates directly on you device, subscribe now.
Arunava graduated in Architecture from IIEST, Shibpur in May 2018. He recently acquired his Master's Degree in Rural Management (PGDRM) from the Institute of Rural Management, Anand (IRMA). He has an interest in Rural Sales, Marketing, and Consumer Behavior.
Arunava was a part of a National Team that won the ISB Invest-O-Pact by presenting a startup idea in the social impact space in ISB's Annual International Management Festival 2020. Arunava also won the Unknown Crafts Person Trophy, a national competition hosted by the National Association of Students of Architecture (NASA) in 2016. In the year 2018, Arunava co-founded Sthapatya (http://sthapatya.co/) which is India's first online magazine on Architecture in the Bengali Language.
Prev Post
Next Post
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.